কৃষ্ণকাল

জীবন ও জীবিকার সন্ধানে

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

Samsung Galaxy a52 price with full review

মার্চ ২০, ২০২৫ 0

Samsung Galaxy A52 Variants and Prices in Bangladesh

Samsung Galaxy A52 (4G) - 6GB RAM + 128GB Storage

  •    Price:৳35,000 - ৳37,000  
  •    Best for: Everyday users and budget-conscious buyers.


Samsung Galaxy A52 (4G) - 8GB RAM + 128GB Storage

   Price: ৳38,000 - ৳40,000  

   Best for:Heavy multitaskers and gamers.


Samsung Galaxy A52 5G (if available)

  •    Price: ৳42,000 - ৳45,000 (approx.)  
  •    Best for:Users looking for 5G connectivity (availability may vary in Bangladesh).

Samsung Galaxy A52 Price in Bangladesh: A Comprehensive Review

The Samsung Galaxy A52 is one of the most popular mid-range smartphones in Bangladesh, offering a perfect blend of premium features and affordability. Since its launch in March 2021, it has gained significant attention for its impressive specifications, sleek design, and competitive pricing. In this blog, we will dive deep into the Samsung Galaxy A52 price in Bangladesh, its features, pros and cons, and why it stands out in the mid-range smartphone market.

Samsung Galaxy a52 price in Bangladesh

Introduction to Samsung Galaxy A52


The Samsung Galaxy A52 is part of Samsung's A-series, which is known for delivering high-quality smartphones at affordable prices. It comes with a 6.5-inch Super AMOLED display, a quad-camera setup, and a powerful Snapdragon processor. With its IP67 water and dust resistance rating, it offers features that are usually found in flagship devices.

Samsung Galaxy A52 Price in Bangladesh

As of 2023, the Samsung Galaxy A52 price in Bangladesh ranges between ৳35,000 to ৳40,000 depending on the variant (6GB/128GB or 8GB/128GB) and the seller. The price may vary slightly due to market fluctuations, offers, or discounts. Despite being a mid-range device, it offers features that rival some high-end smartphones

Key Features of Samsung Galaxy A52

Here are some of the standout features of the Samsung Galaxy A52:

  1. 6.5-inch Super AMOLED Display: 90Hz refresh rate for smooth scrolling and vibrant colors.
  2. Quad-Camera Setup: 64MP main camera, 12MP ultra-wide, 5MP macro, and 5MP depth sensor.
  3. 32MP Selfie Camera: High-resolution front camera for stunning selfies.
  4. Snapdragon 720G Processor: Efficient performance for daily tasks and gaming.
  5. 4500mAh Battery: Long-lasting battery with 25W fast charging support.
  6. IP67 Rating: Water and dust resistance for added durability.
  7. One UI 3.1: User-friendly interface based on Android 11 (upgradable to Android 13).

Design and Build Quality

The Samsung Galaxy A52 boasts a sleek and modern design with a matte finish on the back, which not only looks premium but also resists fingerprints. The phone is lightweight (189g) and comfortable to hold, making it ideal for long-term use. The IP67 rating ensures that the device can withstand water splashes and dust, adding to its durability.

Display Quality

The 6.5-inch Super AMOLED display is one of the highlights of the Galaxy A52. With a 90Hz refresh rate, the display offers smooth scrolling and an enhanced viewing experience. The colors are vibrant, and the brightness is sufficient for outdoor use. Whether you're watching videos, playing games, or browsing the web, the display delivers an immersive experience.

Samsung Galaxy a52 price in Bangladesh

Performance and Hardware

Powered by the Qualcomm Snapdragon 720G processor, the Samsung Galaxy A52 delivers reliable performance for everyday tasks. It comes with 6GB or 8GB of RAM, ensuring smooth multitasking. While it may not be the best choice for heavy gaming, it handles casual games and apps with ease. The 128GB internal storage is expandable up to 1TB via a microSD card, providing ample space for your files and media.


Camera Performance

The quad-camera setup on the Samsung Galaxy A52 is impressive for its price range. The 64MP primary camera captures detailed and sharp photos, while the 12MP ultra-wide camera is perfect for landscape shots. The 5MP macro camera allows you to take close-up shots with great detail, and the 5MP depth sensor enhances portrait mode photos. The 32MP front camera takes stunning selfies, making it a great choice for photography enthusiasts.

Samsung Galaxy a52 price in Bangladesh

Battery Life and Charging

The 4500mAh battery on the Samsung Galaxy A52 ensures all-day usage on a single charge. With moderate use, you can easily get through a full day without needing to recharge. The phone supports 25W fast charging, but unfortunately, the charger is not included in the box. This is a minor drawback, but the battery performance itself is commendable.

Samsung Galaxy a52


Software and User Experience

The Samsung Galaxy A52 runs on One UI 3.1, based on Android 11. The interface is clean, intuitive, and packed with useful features. Samsung regularly provides software updates, ensuring that the device stays secure and up-to-date. The user experience is smooth, and the phone is easy to navigate, even for first-time users.

Pros and Cons of Samsung Galaxy A52

Pros

  1.  Stunning Super AMOLED display with a 90Hz refresh rate.
  2.  Impressive quad-camera setup for photography.
  3. IP67 water and dust resistance.
  4. Long-lasting battery with fast charging support.
  5. Sleek and modern design
Cons
  1. No charger included in the box.

  1. Snapdragon 720G may not handle heavy gaming efficiently.
  2. Slightly higher price compared to competitors like Xiaomi and Realme

Comparison with Competitors

In the mid-range segment, the Samsung Galaxy A52 faces stiff competition from brands like Xiaomi, Realme, and OnePlus. While devices like the Xiaomi Redmi Note 10 Pro and Realme 8 Pro offer similar specifications at a lower price, the Galaxy A52 stands out with its IP67 rating, superior display, and reliable software updates. For those who prioritize brand value and durability, the Galaxy A52 is a better choice

Who Should Buy the Samsung Galaxy A52?

  1. The Samsung Galaxy A52 is ideal for:
  2. Photography Enthusiasts: The quad-camera setup delivers excellent photo quality.
  3. Casual Users: Those who need a reliable smartphone for everyday tasks.
  4. Samsung Fans: Users who prefer Samsung's ecosystem and software experience.
  5. Durability Seekers: The IP67 rating makes it a durable choice for rough usage

Frequently Asked Questions (FAQs)

Q1. What is the price of Samsung Galaxy A52 in Bangladesh?

The Samsung Galaxy A52 price in Bangladesh ranges between ৳35,000 to ৳40,000


Q2. Does the Samsung Galaxy A52 support 5G?

The standard Galaxy A52 supports 4G, but there is a 5G variant available in some markets.


Q3. Is the Samsung Galaxy A52 good for gaming?

While it can handle casual games smoothly, it may struggle with high-end games at maximum settings.


Q4. Does the Samsung Galaxy A52 have a headphone jack?

Yes, it comes with a 3.5mm headphone jack.


Q5. Is the Samsung Galaxy A52 waterproof?

It has an IP67 rating, making it water and dust resistant.

মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫

চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায় সমূহ

মার্চ ১৮, ২০২৫ 0

চুলের যত্ন নেওয়া শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নয়, এটি চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যস্ত জীবনে অনেকেই চুলের যত্নে সময় দিতে পারেন না, কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নেওয়া খুবই সহজ এবং কার্যকরী। এখানে আমরা চুলের যত্নের কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনার চুলকে স্বাস্থ্যবান এবং সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে।

চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায়



 চুলের যত্নে কালোজিরা ও মেথির ব্যবহার


 কালোজিরা এবং মেথি দুটিই চুলের যত্নে অত্যন্ত উপকারী। কালোজিরায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পড়া রোধ করে। অন্যদিকে, মেথি চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে এবং চুলের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে।

 কিভাবে ব্যবহার করবেন?

  • কালোজিরার তেল গরম করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন।
  •  ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। 
  • মেথি বীজ রাতভর ভিজিয়ে রেখে পেস্ট বানান।
  •  এই পেস্ট চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।


 চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা


 অ্যালোভেরা চুলের যত্নে একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে পরিচিত। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। অ্যালোভেরায় রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, এবং অ্যামিনো অ্যাসিড, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

  • অ্যালোভেরার জেল সরাসরি চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। 
  • অ্যালোভেরার জেল নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগালে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

  চুলের যত্নে পেঁয়াজের উপকারিতা

 পেঁয়াজ চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে এবং চুল পড়া রোধ করতে অত্যন্ত কার্যকরী। পেঁয়াজে রয়েছে সালফার, যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে।

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

  • পেঁয়াজের রস বের করে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। 
  • পেঁয়াজের রস নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া আরও শক্ত হয়। 


পেয়ারা পাতা দিয়ে চুলের যত্ন


 পেয়ারা পাতা চুলের যত্নে একটি কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান। এটি চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা চুলের গোড়া শক্ত করে। 


কিভাবে ব্যবহার করবেন


  • পেয়ারা পাতা পানি দিয়ে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করুন। 
  • এই পানি দিয়ে চুল ধুলে চুল পড়া কমে যায়। 
  • পেয়ারা পাতা পেস্ট বানিয়ে চুলে লাগালে চুলের গোড়া শক্ত হয়। 

চুলের যত্নে নারিকেল তেল নাকি সরিষার তেল? 

নারিকেল তেল এবং সরিষার তেল দুটিই চুলের যত্নে অত্যন্ত উপকারী। নারিকেল তেল চুলের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে এবং চুলের ডগা ফাটা রোধ করে। অন্যদিকে, সরিষার তেল চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে। 

কোনটি ব্যবহার করবেন

  • শুষ্ক চুলের জন্য নারিকেল তেল বেশি উপকারী।
  •  চুল পড়া রোধ করতে সরিষার তেল ব্যবহার করা ভালো। 

চুলের যত্নে লেবু 

লেবু চুলের যত্নে একটি কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান। এটি চুলের খুশকি দূর করে এবং চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিভাবে ব্যবহার করবেন

  • লেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে চুল ধুলে খুশকি দূর হয়। 
  • লেবুর রস নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

 চুলের যত্নে মেথি প্যাক


 মেথি প্যাক চুলের যত্নে একটি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে। মেথিতে রয়েছে প্রোটিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চুলের যত্নে মেথি প্যাক

 কিভাবে ব্যবহার করবেন

  • মেথি বীজ রাতভর ভিজিয়ে রেখে পেস্ট বানান।
  •  এই পেস্ট চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। 
  • মেথি পেস্ট দইয়ের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া আরও শক্ত হয়। 

 চুলের যত্নে ডিম ও মেথি


 ডিম এবং মেথি একসাথে ব্যবহার করলে চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়। ডিমে রয়েছে প্রোটিন এবং বায়োটিন,

বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩

রোজার নিয়ত ও ফজিলত

নভেম্বর ৩০, ২০২৩ 0

 রোজা বা রোযা হচ্ছে ফার্সী শব্দ আরবিতে যাকে বলা হয় সাওম। সাওমের বহুবচন হচ্ছে সিয়াম।  এর আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। ইবাদতের নিয়মে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ে পানাহার ও কোনো পাপকার্য, সহবাস বা যেকোন রকমের যৌন মিলন থেকে বিরত থাকাই সিয়াম সাধনা বা রোজা। এই রোজা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ করা হয়েছে। 

 

রোজার-নিয়ত

রোজা সম্পর্কে মহান আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে বলেনঃ 

"হে যারা ঈমান এনেছ তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে করে তোমরা তাক্ওয়া অবলম্বন করতে পার"। (সূরা বাকারা: ১৮৩) 

 এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে আমাদের পূর্ববর্তী যারা ছিলো তারা রোজা রাখত। আমরা হচ্ছি মুসলমান - আমাদের পূর্ববর্তী কারা? হিন্দু, বোদ্ধ, ইহুদী , খৃস্টান, জৈন নাকি অন্য কোন ধর্মের অনুসারী? 

হযরত আদম ( আঃ ) ত্রিশ দিন রোজা রেখেছেন আর হযরত নূহ আঃ রোজা রেখেছেন এবং হযরত দাউদ ( আঃ) এক দিন বিরতি দিয়ে দিয়ে সারা বছরই রোজা রাখতেন। 


রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন:

হযরত নূহ (আ.) ১ লা শাওয়াল ও ১০ জিলহজ ছাড়া সারা বছর রোযা রাখতেন।


— ইবনে মাজাহ ১৭১৪ (সনদ দুর্বল)


আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে মক্কার কুরাইশগণ আশুরার দিন অর্থাৎ ১০ই মুহরমের দিন রোজা রাখত , ওদিন তারা কাবা ঘরের গিলাফ পরিবর্তন করত। মদিনার ইহুদীরাও সপ্তম মাসের ১০ম দিনে রোজা রাখত। 

 

রোজার শর্ত 

আপনি ফরজ বা নফল অথবা সুন্নত যে রোজাই রাখেন না কেনো নিচের ৪টি শর্ত না মিললে রোজা হবে না । 

  1. মুসলিম হওয়া
  2. বালেগ হওয়া
  3. অক্ষম না হওয়া
  4. ঋতুস্রাব থেকে বিরত থাকা নারী।  


রোজার ফরজ 

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে রোজার ফরজ কয়টি? তাদের জ্ঞ্যাতার্থে জানাচ্ছি যে- রোজার ফরজ ৩টি । যথা-

  1. রোজার নিয়ত করা
  2. সকল ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা
  3. স্ত্রী সহবাস বা যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা। 


রোজার প্রকারভেদ

আমরা অনেকেই জানিনা যে রোজা বা সাওম কয় রকমের। আপনারা যারা জানেন তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ আর যারা জানেননা জেনে নিন। রোজা পাঁচ প্রকারের , যেমন

  1. ফরজ রোজা
  2. ওয়াজিব রোজা
  3. মুস্তাহাব রোজা
  4. সুন্নত রোজা
  5. নফল রোজা 

রোজা ভঙ্গ হলে করনীয়

বিনা কারণে রোজা ভঙ্গ করলে তাকে অবশ্যই কাজা-কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব। যতটি রোজা ভঙ্গ হবে, ততটি রোজা আদায় করতে হবে। কাজা রোজা একটির পরিবর্তে একটি অর্থাৎ রোজার কাজা হিসেবে শুধু একটি রোজাই যথেষ্ট। কাফফারা আদায় করার তিনটি বিধান রয়েছে।

রোজার কাফফারা

রোজার কাফফারা আদায়ের জন্য ৩টি বিধান আছে, যথা-

  1. একটি রোজা ভঙ্গের জন্য একাধারে ৬০টি রোজা রাখতে হবে। কাফফারা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজার মাঝে কোনো একটি ভঙ্গ হলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।
  2. যদি কারও জন্য ৬০টি রোজা পালন সম্ভব না হয় তবে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে। কেউ অসুস্থতাজনিত কারণে রোজা রাখার ক্ষমতা না থাকলে ৬০ জন ফকির, মিসকিন, গরিব বা অসহায়কে প্রতিদিন দুই বেলা করে পেটভরে খাওয়াতে হবে।
  3. গোলাম বা দাসী আজাদ করে দিতে হবে।


যেসব কারণে রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা যাবে কিন্তু পরে কাজা করতে হয় তা হচ্ছে


  • মুসাফির অবস্থায়
  • রোগ-ব্যাধি বৃদ্ধির বেশি আশঙ্কা থাকলে
  • মাতৃগর্ভে সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে
  • এমন ক্ষুধা বা তৃষ্ণা হয়, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকতে পারে
  • শক্তিহীন বৃদ্ধ হলে
  • কোনো রোজাদারকে সাপে দংশন করলে।
  • মহিলাদের মাসিক হায়েজ-নেফাসকালীন রোজা ভঙ্গ করা যায়


যেসব কারণে শুধু কাজা আদায় করতে হয়


  • স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করার কারণে যদি বীর্যপাত হয়
  • ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে
  • পাথরের কণা, লোহার টুকরা, ফলের বিচি গিলে ফেললে
  • ডুশ গ্রহণ করলে
  • বিন্দু পরিমাণ কোন খাবার খেলে তবে অনিচ্ছাকৃত ভাবে বা মনের ভুলে খেলেও রোজা ভাংবে না তবে মনে আসা মাত্রই খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে
  • নাকে বা কানে ওষুধ দিলে (যদি তা পেটে পেঁৗছে)
  • মাথার ক্ষতস্থানে ওষুধ দেওয়ার পর তা যদি মস্তিষ্কে বা পেটে পেঁৗছে
  • যোনিপথ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে সহবাস করার ফলে বীর্য নির্গত হলে



রমজানের রোজা পালনের জন্য কিছু আমল গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য রয়েছে বিশেষ নিয়ত ও দোয়া। চলুন জেনে নেই সেহেরি, ইফতার, তারাবিহ, রোজার নিয়ত ও দোয়া: 

সেহরির নিয়ত


সেহরির আলাদা কোনও নিয়ত বা দোয়া নেই। রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে পানাহার করা হয়, সেটাকে ইসলামের পরিভাষায় সেহরি বলে হয়। তাই সেহরি খাওয়ার সময় অন্যান্য খাবারের যে দোয়া আছে তা পড়ে নেওয়া সুন্নত।


খাবারের আগের দোয়া


খাওয়া শুরু করার সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়া পড়তেন, 


بسم الله وعلى بركةالله بعالى


উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারকাতিল্লাহ


অর্থ: আল্লাহ তায়ালার নামে খানা খাওয়া শুরু করছি এবং আল্লাহ তায়ালার বরকত প্রার্থনা করছি। (সাআলাবী)।


রোজার নিয়ত


বাংলাদেশে রোজার একটি আরবি নিয়ত প্রসিদ্ধ— যেটা মানুষ মুখে পড়ে থাকেন। তবে এটি হাদিস ও ফিকাহের কোনো কিতাবে বর্ণিত হয়নি। তবে কেউ চাইলে পড়তে পারেন। 


রোজার আরবি নিয়ত


نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم


রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।


অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।


রোজার নিয়ত বাংলায়


ফরজ বা নফল রোজার নিয়ত আরবিতে হওয়া জরুরি নয়। যেকোনো ভাষায় নিয়ত করা যায়। নিয়ত এভাবে করা যায়— আমি আজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম। 

 (জাওয়াহিরুল ফিকাহ: খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩৭৮)

ইফতারির দোয়া 


بِسْمِ الله - اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ


উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।

অর্থ : ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহঃ

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও সবল মুমিনের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই রোজা নয়; বরং রোজা রাখা অবস্থায় মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়মও।

  •  ইচ্ছা করে বমি করা
  •  বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা
  •  মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসবের পর ঋতুস্রাব
  •  ইসলাম ত্যাগ করলে
  •  গ্লুকোজ বা শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা সেলাইন দিলে
  •  প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে
  •  রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে
  •   ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে
  •  মুখ ভরে বমি করলে
  •   ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরও কিছু খেলে
  •  বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে
  •  কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে 
  •  জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে
  •  অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে
  •  রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।

কোরআনের আলোকে রোজার ফজিলত 

সিয়াম নির্দিষ্ট কয়েক দিনের। তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে অথবা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূর্ণ করবে। যাদের জন্য অতিশয় কষ্টদায়ক হয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদইয়া-একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদান করা। যদি কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর। আর সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্যে অধিকতর কল্যাণকর যদি তোমরা তা জানতে। (সূরা বাকারাহ-১৮৪)

 সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্যে তোমাদের স্ত্রীদের বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্যে এবং তোমরাও তাদের জন্যে পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা তোমাদের নিজেদের সাথে খিয়ানত করছিলে, অতঃপর তিনি তোমাদের তাওবা কবুল করেছেন এবং তোমাদেরকে মার্জনা করেছেন, সুতরাং এখন তোমরা তাদের সাথে সংগত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্যে যা নির্ধারণ করে রেখেছেন (অর্থাৎ সন্তান) তা অন্বেষণ করো। আর তোমরা আহার করো ও পান করো যতক্ষণ তোমাদের জন্যে (রাত্রির) কালো রেখা থেকে ফজরের সাদা রেখা স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো। আর তোমরা মসজিদে ই’তিকাফ অবস্থায় তাদের সাথে সংগত হয়ো না। এগুলো আল্লাহর (নির্ধারিত) সীমা, সুতরাং এর নিকটবর্তী হয়ো না। এভাবেই আল্লাহ মানুষের জন্যে তার আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তারা তাকওয়া বা আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করতে পারে। (সূরা বাকারাহ-১৮৭)


 شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَبَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَالۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَمَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَلَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَلِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَلِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَلَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ


অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

রমযান মাস- যে মাসে কুরআন নাযিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য (আদ্যোপান্ত) হিদায়াত এবং এমন সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী সম্বলিত, যা সঠিক পথ দেখায় এবং (সত্য ও মিথ্যার মধ্যে) চূড়ান্ত ফায়সালা করে দেয়। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে, সে যেন এ সময় অবশ্যই রোযা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য দিনে সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের পক্ষে যা সহজ সেটাই চান, তোমাদের জন্য জটিলতা চান না, এবং (তিনি চান) যাতে তোমরা রোযার সংখ্যা পূরণ করে নাও এবং আল্লাহ তোমাদেরকে যে পথ দেখিয়েছেন, সেজন্য আল্লাহর তাকবীর পাঠ কর  এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

সূরা বাকারাঃ আয়াত-১৮৫

হাদীসের আলোকে রোজার ফজিলত

হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও পর্যালোচনাসহ রমজান মাসের সিয়াম পালন করবে, তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুণাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহীহ বুখারী: ৩৮, সহীহ মুসলিম: ৭৬০)

 হযরত সাহল বিন সা’দ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেছেন, জান্নাতের একটি দরজা আছে, একে রাইয়ান বলা হয়,। এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র সিয়াম পালনকারী ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না। সেদিন এই বলে আহ্বান করা হবে- সিয়াম পালনকারীগণ কোথায়? তারা যেন এই পথে প্রবেশ করে। এভাবে সকল সিয়াম পালনকারী ভেতরে প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অত:পর এ পথে আর কেউ প্রবেশ করেবে না। (সহীহ বুখারী: ১৮৯৬, সহীহ মুসলিম: ১১৫২)

হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেছেন, সিয়াম ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ কোনোদিন সিয়াম পালন করলে তার মুখ থেকে যেন অশ্লীল কথা বের না হয়। কেউ যদি তাকে গালমন্দ করে অথবা ঝগড়ায় প্ররোচিত করতে চায় সে যেন বলে, আমি সিয়াম পালনকারী। (সহীহ বুখারী: ১৮৯৪, সহীহ মুসলিম: ১১৫১)

হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সিয়াম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য। কিন্তু সিয়াম আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। সিয়াম ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, আমি সিয়াম পালনকারী। যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, তার শপথ! অবশ্যই সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চেয়েও সুগন্ধি। সিয়াম পালনকারীর জন্য রয়েছে দু’টি খুশি, যা তাকে খুশি করে। যখন যে ইফতার করে, সে খুশি হয় এবং যখন সে তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ করবে, তখন সাওমের বিনিময়ে আনন্দিত হবে। (সহীহ বুখারী: ১৯০৪, সহীহ মুসলিম: ১১৫১)

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেন, তোমাদের নিকট রমজান মাস উপস্থিত। এটা এক অত্যন্ত বরকতময় মাস। আল্লাহ তা’য়ালা এ মাসে তোমাদের প্রতি সাওম ফরজ করেছেন। এ মাসে আকাশের দরজাসমূহ উন্মুক্ত হয়ে যায়, এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এ মাসে বড় বড় শয়তানগুলোকে আটক রাখা হয়। আল্লাহর জন্যে এ মাসে একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও অনেক উত্তম। যে লোক এ রাত্রির মহা কল্যাণলাভ হতে বঞ্চিত থাকল, সে সত্যিই বঞ্চিত ব্যক্তি। (সুনানুন নাসায়ী:২১০৬)

রোজা রেখে চুল কাটা যাবে কি?

জ্বী, আপনি রোজা অবস্থায় শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, পশম, নোখ, দাড়ি এবং চুল কাটতে পারবেন। এতে আপনার রোজা ভঙ্গ হবে না ।

সেহরি না খেলে রোজা হবে?

সেহরি খাওয়া উত্তম । রাসূল ( সাঃ ) বলেছেন সেহরি হচ্ছে বরকতময় খাবার। তবে কেউ যদি সেহরি না খেয়ে রোজা রাখে তবে তা জায়েজ হবে।

বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায়?

না, রোজা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলেও রোজা ভাঙবে না। তবে ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তাকে সে রোজা কাজা করতে হবে না (অর্থাৎ তার রোজা ভাঙবে না)। আর যে ইচ্ছাকৃত বমি করবে, সে যেন রোজার কাজা করে।।

শবে মেরাজের রোজা কয়টি?

শবে মেরাজের নির্দিস্ট কোন রোজা নেই। কোরআন হাদীসে আদেশ পাওয়া যায়নি।

জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি?

জিলহজ মাসের শুরু থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত রাসুল (সা.) সিয়াম পালন করতেন এবং যারা হজে যাবে না, তারা জিলহজ মাসের ৯ তারিখ, যেটা আরাফার দিবস রয়েছে, আরাফার দিবসে সিয়াম পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ মনে করেন, এই ৯ দিনই সিয়াম পালন করবেন, তাহলে তিনি করতে পারেন। আর এর মধ্যে কেউ যদি মনে করেন, এর বেশির ভাগ সিয়াম পালন করবেন, সেটাও করতে পারেন। যেহেতু নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল, এমনকি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের চেয়েও বেশি প্রিয় আমল।’ সুতরাং, এই কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ এই দিনগুলোতে সিয়াম পালন করা যেতে পারে, জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন। শুধু ঈদের দিন সিয়াম পালন করতে পারবেন না।

আরাফার রোজা কয়টি?

১টি। জিলহজ্জ্ব মাসের নবম দিন কে আরাফার দিবস বলা হয়। হাদীসে আছে এই দিন সাওম পালন করলে ২ বছরের গুনাহ মাফ হয় ।

ফিলিস্তিন, ইহুদী ও হামাসের নির্ভেজাল বাস্তবতা যা জানা জরুরী

নভেম্বর ৩০, ২০২৩ 0
ফিলিস্তিন, ইহুদী ও হামাসের নির্ভেজাল বাস্তবতা যা জানা জরুরী

 এই নিবন্ধন যখন লিখছি তখন ইজরায়েলের সেনাবাহিনী গাজা ও পশ্চিমতীরের সর্বত্র স্থল অভিযান চালাচ্ছে, যাতে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনী - যাদের বেশির ভাগ শিশু। প্রতি আট মনিটে একজন ফিলিস্তিনী শিশু মারা যাচ্ছে - ইহুদী ইজরায়েলের ছোঁড়া কামানের আগাতে যা কোন সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারেনা। বর্তমান বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্র আমেরিকা ও পশ্চিমা দুনিয়া ইজরায়েলকে  জোরালো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে এই অসম যুদ্ধে ; অথচ এই আমেরিকা  নিজেকে সভ্য সমাজের মানদন্ড ও মানবতার পথ পদর্শক দাবী করে। আরব বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ প্রকাশ্যে বা গোপনে ইহুদী বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারিনা; অথচ তাদের শতভাগ সমর্থন পাবার দাবিদার হামাস বা  ফিলিস্তিন। 

ফিলিস্তিনঃ

ফিলিস্তিন এমন একটি দেশ যেখানে রয়েছে পৃথিবীর প্রধান তিনটি ধর্মের উপাসনালয় বা ধর্মের প্রবর্তকের জন্মস্থান। এই কারনেই  এই ধর্ম সমূহের অনুসারীরা ফিলিস্তিনকে নিজেদের অঞ্চল হিসেবে দাবী করে থাকে। ফিলিস্তিনের আদি নাম কেনান 

Javascript Copy Text Button

Goal: A copy text button that functions similar to the one on GitHub. When clicked, the button text briefly (.75s) changes to "Copied!" for visual feedback. Multiple copy buttons can be used on the same page via unique ID identifiers.

I'm not a Javascript programmer, but this short bit of code works and seems to do what I want. It may or may not be a good way or violate some programming princples I do not understand. I do not know if the use of setTimeout is good practice. This solution works in Firefox. I do not know how it is supported in other browsers.

Solution is pure Javascript. Bootstrap CSS is not required, but is used here to make this codepen look nice.

First Copy Text Demo

Now is the time for all good men to come to the aid of their country.

Second Copy Text Demo

The quick brown fox jumped over the lazy dog.
function copyText(element) { var $copyText = document.getElementById(element).innerText; var button = document.getElementById(element + '-button'); navigator.clipboard.writeText($copyText).then(function() { var originalText = button.innerText; button.innerText = 'Copied!'; setTimeout(function(){ button.innerText = originalText; }, 750); }, function() { button.style.cssText = "background-color: var(--red);"; button.innerText = 'Error'; }); }
READ MORE

তাহাজ্জুদ নামাজের সময়, রাকাত, নিয়ম ও ফজিলত

নভেম্বর ৩০, ২০২৩ 0

আমরা মুসলিমরা জানি যে - প্রত্যক মুসলিম নর-নারীর উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামজ ফরজ। এই পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে ফযিলতপূর্ণ নামাজ হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ। কোরআন মাজিদে মহান আল্লাহ তায়ালা এই নামাজের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করেছেন। পাঁচ ওয়াক্ত আবশ্যক এবং ফরজ নামাজের বাহিরে যদি অন্য কোন মর্যাদাসম্পন্ন ও ফযিলতপূর্ণ নামাজ থাকে সেটি হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ।

তাহাজ্জুদ-নামাজ


এই ব্লগ থেকে আপনি জানতে পারবেন-  তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, গুরুত্ব এবং ফজিলত ।


তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করতে পারে। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের আগে নবী করীম (সাঃ) এর উপর তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক ছিল।


তাই তিনি কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকেন নি। এই নামাজ আদায়ের মাধ্যমে অশেষ পুণ্য লাভ করা যায়। আবার  এই নামাজ না পড়লে কোন গুনাহ হবে না।পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে অনেক ভালো।  


তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজ অন্য সব নামাজের মতোই পড়তে হয়। এর বিশেষ কোন নিয়ম নেই। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, তাহাজ্জুদের নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে আদায় করতে হয়। তিনি কখনো দুই রাকআত, কখনো চার রাকআত, কখনো আট রাকআত, কখনো বারো রাকআত পড়তেন।

কেউ যদি ২ রাকাত পড়তে পারে তবে তার তাহাজ্জুদ সালাত আদায় হবে। এই দুই রাকাত করে সালাত আদায় করার আলাদা কোন নিয়ম নেই। এই নামাজ আদায়ের জন্য কোন  সুনির্দিষ্ট সূরা ও পড়তে হয় না।

তাকবিরে তাহরিমা আল্লাহু আকবর বলে নিয়ত করা। অতঃপর ছানা পড়া,সূরা ফাতিহা পড়া, সূরা মিলানো তথা কেরাত পড়া।অতঃপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু সেজদাহ আদায় করা। এভাবে দ্বিতীয় রাকআত আদায় করে তাশাহুদ,দুরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ার পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।

মহাগ্রন্থ আলকোরানের  যে সমস্ত সূরা মুখস্থ আছে আপনার তন্মধ্য বড়  বড় সূরা যে সূরা আপনি ভালোভাবে পারেন ওইটা দিয়ে পড়েন। আপনি চাইলে এক রাআকাতে কয়েকটি সূরা ও পড়তে পারেন আবার একই সূরা বারবার পড়তে পারেন। এই নামাজ যত আস্তে ধীরে এবং সময় নিয়ে পড়তে পারেন ততো ভালো।

রুকু এবং সেজদাতে লম্বা সময় নিয়ে পড়তে চেষ্টা করবেন। সেজদার তাসবিহ পাঠ করার পর আপনার যতো চাওয়া পাওয়া আছে সব আল্লাহকে বলেন। কারণ সেজদারত অবস্থায় বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী থাকে।আল্লাহ তায়ালা তার সব চাওয়া-পাওয়া শোনেন এবং পূরণ করেন।  


মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

আপনাদের অনেকের কাছ থেকেই  প্রশ্ন আসে- মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম কি? মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য আলাদা কোন নিয়ম নেই। মহান আল্লাহ তায়ালা তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য পুরুষ-মহিলাদের একই নিয়ম বিধান করেছেন। 


তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত


نَوَيْتُ اَنْ اسَلَى رَكَعَتِى التَّهَجُّدَ


তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত এর বাংলা অর্থ

হে আল্লাহ আপনার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি আল্লাহু আকবার


তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ 


নাওয়াইতুয়ান  উসালিয়া  লিল্লাহি  তা’আলা  রাকাআতাই  সালাতিত  তাহাজ্জতিই  মোতাওয়াজ্জিহান  ইলা  জিহাতিল  কাবাতিশ  শারিফাতি, আল্লাহু আকবর।


তাহাজ্জুদ নামাজের সময়

তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ হচ্ছে ঘুম থেকে জাগা বা ঘুম থেকে ওঠা। তাহাজ্জুদের নামাজ রাতের শেষ অংশে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদ নামাজের মূল সময় হচ্ছে রাত ২টা থেকে শুরু করে ফজরের আগ পর্যন্ত।


কারো ঘুম থেকে উঠতে সমস্যা হলে এশার নামাজের ফরজ এবং সুন্নত পড়ার পর বিতর নামাজের আগে ২ রাকআত ২ রাকআত করে তাহাজ্জুদের নিয়ত করে এই নামাজ পড়তে পারবেন। এবং পড়ে বিতরের নামাজ পড়বেন। তবে তাহাজ্জুদ নামাজের সর্বোত্তম সময় হচ্ছে শেষ রাতে। 


তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল


অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন তাহাজ্জুদ নামাজ কি সুন্নত নাকি নফল? 


নফল শব্দের অর্থ হচ্ছে অতিরিক্ত। নফল নামাজ পড়লে আপনার আমলনামায় সওয়াব লেখা হবে। ফরজ নামাজে যদি কোন ত্রুটি থাকে তখন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের বলেন দেখো এর কাছে কোন নফল নামাজ আছে কি না।তাই ফরজ নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।


আর সুন্নত হচ্ছে যে আমল নবী করীম (সাঃ) করেছেন বা কোরআনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাহাজ্জুদের নামাজ নবী করীম (সাঃ) নিজে পড়েছেন এবং পড়তে  উৎসাহিত করেছেন তাই এটি সুন্নত। একইসঙ্গে এটি নফল ও বলা যায়। কারণ এই নামাজ আদায় করতে না করলে আপনার গুনাহ হবে না।এটি আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়।   


তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত

তাহাজ্জুদের নামাজ সর্বনিম্ন ২ রাকআত এবং সর্বোচ্চ ১২ রাকআত। ৮ রাকআত পড়া উত্তম। বেশিরভাগ সময় রাসুল (সাঃ) তাহাজ্জুদের নামায ৮ রাকাত পড়তেন এবং এর পর বিতরের নামায পরে মোট ১১ রাকাত পূর্ণ করতেন।


রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ  হলো সব রাসুলগনের সুন্নত। আল্লাহ তায়ালা মাহবুব বান্দাগনের অভ্যাস। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার গভীর সম্পর্ক স্থাপন তথা নৈকট্য ও সন্তোষ অর্জনের অন্যতম পন্থা। 

কোরআনের আলোকে তাহাজ্জুদ নামাজঃ 

রাতের কিছু অংশ তাহাজ্জুদ নামাজ কায়েম করুন। এটা আপনার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য।আশা করা যায় আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে।

(সূরা বনি ইসরাইল, আয়াতঃ৭৯)

তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদের যে রুজি দিয়েছি তা থেকে তারা দান করে।

সূরা সেজদাহ, আয়াতঃ১৬

নিশ্চয়ই রাতে ঘুম থেকে ওঠা মনকে দমিত করার জন্য খুব বেশি কার্যকর এবং সে সময়ের কোরআন পাঠ বা জিকির খুবই যথার্থ। 

সূরা মুযাম্মিল, আয়াতঃ ৬ 

তারা রাতের সামান্য অংশ নিদ্রায় অতিবাহিত করে এবং রাতের শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করে।

সূরা আয-যারিয়াত, আয়াতঃ ১৭-১৮   

আর আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা যারা তাদের রবের দরবারে সেজদাহ করে এবং দাড়িয়ে থেকেই রাত কাঠিয়ে দেয়।

সূরা আল-ফোরকান, আয়াতঃ৬৪

তারা ছিল কঠিন পরীক্ষায় পরম ধৈর্যশীল, অটল অবিচল,সত্যের অনুসারী, পরম অনুগত। আল্লাহর পথে ধন-সম্পদ উৎসর্গকারী এবং রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

সূরা আলে-ইমরান, আয়াতঃ ১৭

হাদীসের আলোকে তাহাজ্জুদ নামাজঃ 

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর থেকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, আফজালুস সালাতি বাদাল মাফরুদাতি সালাতুল লাইলি’ ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।

মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ

>
p>রাসুল (সাঃ) বলেন, আমাদের প্রভু পরওয়ারদিগার তাবারাকা ওয়া তা’আলা প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ার আসমানে (যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়) নেমে আসেন যখন রাত্রের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে । অতঃপর তিনি বলেন, তোমাদের কে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দেব । কে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দেব, কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।

মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ

রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদের নামায পড়ে এবং সে তার স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগিয়ে নামায পড়ায় এমনকি সে যদি জেগে না উঠে, তবে তার মুখে খানিকটা পানি ছিটিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষণ করে থাকেন। অনুরুপ কোন মহিলা যদি রাত্রিকালে জাগ্রত হয়ে তাহাজ্জুদ নামায পড়ে এবং সে তার স্বামীকে নামাযের জন্য জাগায় এমনকি স্বামী না জাগলে স্ত্রী তার মুখে পানি ছিটিয়ে তার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতিও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতে থাকে।

 আবু দাউদ, নাসায়ী, মেশকাত ১০৯ পৃঃ

কেয়ামতের ভয়াবহ বিপর্যয় ও কঠিন হিসাব-নিকাশের দিবসে কোন ব্যক্তি যদি সহজ হিসাব কামনা করে, তবে তার উচিত হবে নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া।

শ্রেষ্ঠতম মুফাসিসরে কোরআন আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (র.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হাশরের ময়দানে সহজ হিসাব কামনা করে, তার উচিত হবে আল্লাহ যেন তাকে রাত্রির অন্ধকারে সেজদারত ও দাঁড়ানো অবস্থায় পান। তার মধ্যে পরকালের চিন্তা ও রহমতের প্রত্যাশাও থাকা দরকার।

 তাফসিরে কুরতুবি, মা’আরেফুল কোরআন, ক্বিয়ামুল লাইল

হজরত জাবির (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলতে শুনেছি রাতের মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত আছে যদি কোন মুসলমান তা তালাশ করে এবং আল্লাহর কাছে ইহ ও পরকালের কোন কল্যাণ চায় আল্লাহ নিশ্চয় তাকে তা দেন

সহিহ মুসলিম    

তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া 

তাহাজ্জুদ নামাজে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যে দোয়া পড়তেন

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশে যখন দাঁড়াতেন,ম তখন (এ) দোয়া পড়তেন-


اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ،


وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ،


وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ـ أَوْ لاَ إِلَهَ غَيْرُكَ


উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না ওয়া লাকালহামদু। লাকা মুলকুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না। ওয়া লাকাল হামদু আংতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়া লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু। ওয়া ওয়া’দুকাল হাক্কু। ওয়া লিক্বাউকা হাক্কু। ওয়াল ঝান্নাতু হাক্কু। ওয়ান নারু হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্কু। ওয়া মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হাক্কু। ওয়াস সাআতু হাক্কু। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু। ওয়াবিকা আমাংতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু। ওয়া ইলাইকা আনাবতু। ওয়া বিকা খাসামতু। ওয়া ইলাইকা হাকামতু। ফাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয়া মা আখ্খারতু। ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ’লাংতু। আংতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখ্খিরু। লা ইলাহা ইল্লা আংতা। লা ইলাহা গাইরুকা।’ (বুখারি)

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! সব প্রশংসা আপনারই, আপনিই আসমান-জমিন ও উভয়ের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর নিয়ামক এবং আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আসমান-জমিন এবং এর মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনি আসমান-জমিনের নুর। আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনি আসমান-জমিনের মালিক, আপনারই জন্য সব প্রশংসা।


আপনিই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চির সত্য। (পরকালে) আপনার সাক্ষাৎ সত্য। আপনার বাণী সত্য। আপনার জান্নাত সত্য। আপনার জাহান্নাম সত্য। আপনার (প্রেরিত) নবিগণ সত্য। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য, কেয়ামত সত্য।


তাহাজ্জুদ নামাজ অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ নামাজ। ফরজ নামাজের পড়েই এই নামাজের অবস্থান। তাই সব মুসলিম বান্দাদের উচিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া এবং মনকে পবিত্র করা। আল্লাহ সব মুলসিম উম্মাহকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার তওফিক দান করুন। আমিন। 



তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ কি

তাহাজ্জুদ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ রাত জাগরণ বা নিদ্রা ত্যাগ করে রাতে নামাজ পড়া।


তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়ে যা যা জানা জরুরীঃ
তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ কি?

তাহাজ্জুদ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ রাত জাগরণ বা নিদ্রা ত্যাগ করে রাতে নামাজ পড়া।

তাহাজ্জুদ নামাজ কি?

মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে নামাজ আদায় করা হয় তা-ই ‘সালাতুত তাহাজ্জুদ’ বা তাহাজ্জুদ নামাজ।

তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত?

তাহাজ্জুদের নামাজ সর্বনিম্ন ২ রাকআত এবং সর্বোচ্চ ১২ রাকআত। ৮ রাকআত পড়া উত্তম।

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল?

তাহাজ্জুদের নামাজ নবী করীম (সাঃ) নিজে পড়েছেন এবং পড়তে উৎসাহিত করেছেন তাই এটি সুন্নত।একইসঙ্গে এটি নফল ও বলা যায়।কারণ এই নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক নয়।

তাহাজ্জুদ নামাজ কখন পড়তে হয়?

তাহাজ্জুদের নামাজ রাতের শেষ অংশে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদ নামাজের মূল সময় হচ্ছে রাত ২টা থেকে শুরু করে ফজরের আগ পর্যন্ত।

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

ফরেক্স কি ? কিভাবে ফরেক্স করবেন?

নভেম্বর ২৮, ২০২৩ 0

ফরেক্স নিয়ে আপনাদের নানা রকমের প্রশ্ন ও আমার উত্তর ।

  • ফরেক্স মানে কি?
  • ফরেক্স ট্রেডিং কিভাবে কাজ করে?
  • ফরেক্স ট্রেডিং এর সুবিধা কি কি
  • ফরেক্স মার্কেট কখন বন্ধ হয়?
  • ফরেক্স এর মালিক কে
  • কোন সময় ট্রেড করা ভালো
  • একজন সফল ট্রেডার হতে কত সময় লাগে
  • ফরেক্স ট্রেডিং কি নতুনদের জন্য ভালো
  • ফরেক্স কি হালাল না হারাম?
  • ফরেক্স প্রাইস ওঠানামা করার কারণ কি
  • Swap free forex কি হালাল
  • ইসলামিক ট্রেডিং একাউন্ট কি
  • ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ
  • ফরেক্স ট্রেডিং শিখুন
  • ফরেক্স ট্রেডিং কি হালাল
  • ফরেক্স ট্রেডিং বই PDF Download
  • ফরেক্স ট্রেডিং কিভাবে করে
  • ফরেক্স মার্কেট কি
  • ফরেক্স মার্কেট শুরু কত সালে
  • ট্রেডিং কিভাবে করব

মুল আলোচনায় যাওয়ার আগে হালকা একটু জেনে নেয় ফরেক্স কি এর কি কি সুবিধা আছে এবং প্রফেশন হিসেবে এটা কেমন হতে পারে। বিষয়টা আসলে শেয়ার করছি অনেকজানার ভেতর সামান্য অজানার তাগিতে, বেশ কদিন ধরে একটা প্রশ্ন ফেইস করছি অনেকে ফরেক্স, ফরেক্স শব্দটা শুনতে শুনতে বিরক্ত, যে ফরেক্স শিখতে কোথায় যাব? অনেকে অনেক ধরনের সুবিধার কথা বলছে, কেউ কেউ বলছে ট্রেনিং করলে নিশ্চিত আয়, আবার এটাও অনেকে বলছে মাসে ৫০,০০০০-৭০,০০০০ টাকা সহ আনলিমিটেড আয়ের ব্যবস্থা ,আবার এমন কাউকে শো করছে যারা নাকি প্রতিমাসে ১,০০,০০০(এক লক্ষ) টাকার চেয়ে বেশী ইনকাম করে ফরেক্স ট্রেডিং এর মাধ্যমে। সব মিলিয়ে বিষয়টা অনেকের কাছে এখনো অস্পষ্ট। তাই আমার ফরেক্স ট্রেডিং এর অভিজ্ঞতা এবং উপরোক্ত সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলোর যথাযথ সমাধানের চেষ্টায় এই অভিপ্রায়। আশা করছি আপনাদের ফরেক্স ট্রেডিং অভিজ্ঞতা ও শেয়ার করবেন। তাতে করে মিনিমাম একটা লাভ যে নতুনরা মিসগাইড হবে না।

 ফরেক্স কিঃ

বৈদেশিক মুদ্রা অনলাইনে কেনাকাটা করে প্রফিট অথবা লস করাকে ফরেক্স বলে।  আলোচনার স্বার্থে এবং একেবারে নতুন যারা তাদেরকে বলছি; ফরেক্স হল এমন একটি ট্রেডিং মার্কেট যেখানে একটি মুদ্রার বিপরিতে আরেকটি মুদ্রা কেনাবেচা করে প্রফিট করা যায় আবার লস হয়ে যায়। আর এই মার্কেটে ট্রেডিং সুবিধাগুলোও নতুনরা একবার জেনে নিতে পারেন। 

ফরেক্স-মার্কেট


ফরেক্স মার্কেট কি?

ফরেক্স মার্কেট হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা লেনদেনের অনলাইন মার্কেট। এই ফরেক্স মার্কেটে মুদ্রা ছারাও বিভিন্ন ধরনের ধাতু যেমন সোনা, রুপা, হিরা,তেল ও গ্যাস সহ আরো অনেক কিছু কেনাবেচা করা যায়। Forex হচ্ছে the foreign exchange market, কেউ কেউ বা FX অথবা currency market বলে থাকে । বুঝিয়া বলি, মনে করেন আপনি এক দেশ থেকে অন্য দেশ এ ঘুরতে গেলেন তখন আপনার টাকা কিংবা ডলার এর বিপরীত এ ঐ দেশের মুদ্রা কিনতে হয় , আবার যখন ফিরে আসেন তখন অবশিষ্ট কিচ মুদ্রা থাকলে টাকা তে convert করে পেলেন আর এটাই ফরেক্স ট্রেডিং। এর দেশ এর মদ্রা এর সাথে অন্য দেশ এর মুদ্রা বেচা-কেনাই হল ফরেক্স ট্রেডিং। এটা হতে পারে USD-BDT অথবা USD-EUR । এটা নির্ভর করবে আপনার পছন্দের ওপর।


The foreign exchange market কে সংক্ষেপে forex বা FX বলা হয় । ফরেক্স হল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ financial market. অন্য কোন financial মার্কেট এর সাথে তুলনা করতে গেলে ২০০৮ সালের ডাটা অনুযায়ী The New York Stock Exchange মার্কেট এর প্রতিদিন গড় লেনদেন ২২.৪ বিলিয়ন ডলার আর ফরেক্স মার্কেট এ গড় প্রতিদিন লেনদেন হয় ৫ ট্রিলিয়ন. নিচে সংক্ষেপে বিশ্বের বড় বড় মার্কেট এর তুলনা দেওয়া হল।

ফরেক্স- ট্রেডিং

ঐ তথ্য অনুযায়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মার্কেট থেকেও ফরেক্স মার্কেট ২০০ গুন বড়। তাই এত বড় মার্কেট এ কেউ একা বা সঙ্গবদ্ধ হয়ে কোন ধরনের scam করতে পারে না । যা সচরাচর stock মার্কেট এ করতে পারে।

ফরেক্স মার্কেট এ মূলত মুদ্রা বেচা কেনা করা হয়। এছাড়া ফরেক্স মার্কেটে সোনা রুপা তেল আরও অনেক কিছুর বেচাকেনা হয় । মনে করেন, জাপান তার অর্থনৈতিক অবস্তা ভাল তার মানে জাপান এর মুদ্রা এর দাম অনন্যা মুদ্রা এর সাথে বাড়বে। তখন যদি আপনি জাপান মুদ্রা কিনে রাখেন। এক পর্যায় বাড়ল এবং আপনার জাপান ইয়েন বিক্রয় করে দেন তাতেই আপনার লাভ হয়ে যাবে। ফরেক্স মার্কেট এ আর একটা বড় লাভ যে আপনি কিনার পর পর ই লাভ হলে তা বিক্রয় করে দিতে পারবেন।


ফরেক্স মার্কেট এ বেশীর ভাগ শক্তিশালী মুদ্রা গুলোর বেচাকেনা হয় । আর এই শক্তিশালী মুদ্রা গুলোকে বলা হয় Major currency বা প্রধান মুদ্রা । যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইউরো যুক্তরাজ্যের পাউন্ড কানাডার ডলার অষ্টেলিয়ার ডলার এবং জাপানের ইয়েন ।নিচে ফরেক্স মার্কেটের Major currency গুলোর নাম এবং প্রতীক গুলো দেওয়া হল।

ফরেক্স-কারেন্সি


Forex হচ্ছে the foreign exchange market, কেউ কেউ বা FX অথবা currency market বলে থাকে । বুঝিয়া বলি, মনে করেন আপনি এক দেশ থেকে অন্য দেশ এ ঘুরতে গেলেন তখন আপনার টাকা কিংবা ডলার এর বিপরীত এ ঐ দেশের মুদ্রা কিনতে হয় , আবার যখন ফিরে আসেন তখন অবশিষ্ট কিচ মুদ্রা থাকলে টাকা তে convert করে পেলেন আর এটাই ফরেক্স ট্রেডিং। এর দেশ এর মদ্রা এর সাথে অন্য দেশ এর মুদ্রা বেচা-কেনাই হল ফরেক্স ট্রেডিং। এটা হতে পারে USD-BDT অথবা USD-EUR । এটা নির্ভর করবে আপনার পছন্দের ওপর।

Currency প্রতীক সবসময় তিন অক্ষর এর হয়ে থাকে। প্রথম দুই অক্ষর দিয়ে দেশের নাম এবং শেষ অক্ষর দিয়ে মুদ্রার নাম প্রকাশ করে থাকে।


ফরেক্স মার্কেট এর এক মুদ্রা সাথে অন্য মুদ্রা বেচাকেনা করা হয়। আর এই দুইটা মুদ্রা কে একত্রে Currency Pairs বলা হয় থাকে।ফরেক্স মার্কেট এ major Pairs গুলো হলUSDEUR, USDGBP, USDJPY, EURBGP.


ফরেক্স মার্কেট এ BUY-SELL দুইটাই আছে ,এখানে Buy দিলে profit হয় আবার Sell দিলে ও Profit হয়ে থাকে কিন্তু কিভাবে ? হা তা সত্যি বুঝিয়ে বলি ফরেক্স মানে দুইটা currency মধ্যে বেচাকেনা একটা কিনে আর অন্যটা বিক্রি করা। মনে করুন আপনি ডলার এর বিপরীতে ইউরো কিনলেন। তার মানে ইউরো BUY করলেন আর ডলার SELL করলেন।আবার ইউরো এর বিপরীত এ ডলার কিনলেন তাহলে ডলার BUY করলেন । আর ডলার BUY করা মানে ইউরো SELL করা । এখন EURUSD pair এর মধ্যে EUR কিনা কে বলা হয় BUY আর EUR এর বিপরীতে USD কিনা কে বলা হয় SELL.


forex currency pairs কে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়।


১. প্রধান মুদ্রাজোড় (major currency pairs)


২. গৌণ মুদ্রাজোড় (mainor or cross currency pairs)


৩. এক্সোটিক মুদ্রাজোড় (Exotic pairs)


ফরেক্স মার্কেট এ USD সবচেয়ে শক্তিশালী বলে USD সাথে বাকি সব শক্তিশালী মুদ্রা ট্রেড করাটাই প্রধান মুদ্রাজোড়। যেমন USDEUR বা USDGBP.


USD বাদে বাকি সব প্রধান মুদ্রাগুলোর জোড় (pairs) মধ্যে ট্রেড করা হল গৌণ মুদ্রাজোড়। সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রস pairs গুলো GBP EURO JPY এর মধ্যেই দেখা যায়। EURO এর সাতে অন্য সব প্রধান currency এর সাথে pairs বানানো হলে এটাকে EURO ক্রস বলা হয়ে থাকে । একই ভাবে GBP ক্রস, JPY ক্রস, AUD ক্রস বানানো হয়ে থাকে।


এক্সোটিক pairs বলতে সাধারনত কম শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর সাথে প্রধান মুদ্রাগুলোর জোড় কে বোঝানো হয়। সাধারণত এই সব মুদ্রার USD এর সাথেই Pairs হয়ে থাকে। এক্সোটিক মুদ্রার মধ্যে শক্তিশালী মুদ্রাগুলো হল ইন্ডিয়ান রুপি, থাইল্যান্ডের বাথ, ডেনমার্কের ক্রোন ইত্যাদি। এ ধরনের ক্রস মুদ্রাগুলোর মধ্যে তেমন ট্রেড হয় না। ফরেক্স মার্কেট এ প্রধান এবং ক্রস pairs এর মধ্যে বেশী লেনদেন হয়ে থাকে।


ফরেক্স মার্কেট এ ডলার এর আধিপত্য বিস্তার প্রথম থেকেই। ফরেক্স মার্কেট এ মূলত USD দিয়েই ট্রেড করা হয় অন্যান্য মুদ্রা গুলো ততটা ব্যবহার হয় না নিচে ফরেক্স মার্কেটের মুদ্রা distribution এর একটি চার্ট দেওয়া হল।

ফরেক্স-কারেন্সি


তার মানে বুজতেই পারতেছেন USD ই হচ্ছে ফরেক্স মার্কেটের রাজা .আমাদের মতে একজন ফরেক্স beginner এর জন্য USD সিলেক্ট করাই উত্তম।

ফরেক্স শিখতে কোথায় যাব?

খুব সহজ উত্তর হল কোন ফরেক্স ট্রেনিং সেন্টারে চলে যান অথবা আপনার পরিচিত কেউ ফরেক্স জানলে তারকাছ থেকে যেকোনভাবে শিখতে শুরু করুন। আসুন এইবার একটু গভীরে যায়। ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে ফরেক্স শিখলে কেমন হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে মোটামুটি সব ফরেক্স ট্রেনিং সেন্টারের সাধারণ ফরেক্স ট্রেডিং এর ট্রেনিং ফি ৮,০০০-১০,০০০ টাকার মধ্যে। সময় ২-৪ সপ্তাহ। ভালো। কোন বিষয় সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হলে ট্রেনিং আর কোন বিকল্প নেই। নিজে নিজে সবাই সব কিছু পারে না। ট্রেনিং সেন্টারের এই এক মাসের ট্রেনিং এ আপনি ফরেক্স ট্রেডিং রাজ্য একটু পা দিলেন এখন বাকি কাজ আপনার, নিয়মিত অধ্যায়ন এবং চেষ্টায় আপনাকে একজন ট্রেডার রুপে গড়ে তুলতে পারে। সে জন্য দরকার লম্বা একটা সময় নিয়ে অনুশীলন শুরু করা। আর এই কাজটি করতে আপনি ট্রেনিং সেন্টারে জেতে বাধ্য নন, আপনি চাইলে নিজে নিজে বিষয়টা আয়ত্তে আনতে পারেন। তবে রেডিমেইড হলে সময়টা কম লাগে। খেয়াল করুন প্রথমত ফরেক্স কোন ডাক্তার দ্বারা বানানো কোন বড়ি নয় যে এক নিমিষে গুলিয়ে গেয়ে নিলেন অথবা এমন কোন প্যাকেজ নয় যে এক মাসের মধ্যে সব বুঝে গেলেন। ফরেক্স হল একটা “ লং টাইম লার্নিং প্রসেস ফর লাইফ টাইম এন্ড লাইভ আর্নিং ”। অল্প বিদ্যা যেমন ভয়ংকর তেমনি সামান্য কদিনের প্রচেষ্টায় বিষয়টি আয়ত্তে আনার চিন্তাও তেমনি ভয়ংকর। তাহলে আপনি যে সাগরে নামবেন মাছ ধরার জন্য সেই সাগরের মাছ আপনাকে খেয়ে ফেলবেন। সুতরাং সাধু সাবধান। 


ফরেক্স ট্রেডিংকিভাবে শুরু করবেন? 

ধাপ ১ #


আপনি প্রথমে দেশি-বিদেশি যেকোন একটা সাইট মার্ক করেন তারপর প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময় বের করেন আপনার রেগুলার রুটিন থেকে তারপর একটু একটু করে স্টাডি শুরু করেন মনে রাখবেন তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে লোড নিবেন না। জোর পূর্বক কিছু আয়ত্তে আনার চেস্টা করবেন না। আপনি যদি সময় কে সময় দেন তাহলে সময় আপনাকে সময় দিবে। আপনার স্টাডি কে তিনটি ভাগে ভাগ করে নিন নয়ত তালগোল পাকিয়ে ফেলতে পারেন (বিগেনিং, প্রফেশনাল এবং এডভান্সড এই তিনটি লেভেলে).


ধাপ  ২ #


স্টাডি চালিয়ে যেতে অনেক বিষয় অনেক সময় অস্পষ্ট থাকতে পারে সেই ক্ষেত্রে ভিবিন্ন ফোরামে আপনার সমস্যাটি বা যে বিষয়টি বুঝতে পারছেন না তা জিজ্ঞেস করুন। অনেক অভিজ্ঞ ট্রেডার আছে যারা আপনার সমসাটির ভালো সমাধান দিতে পারবেন।

স্টাডির যখনি ডেমো ট্রেডিং অধ্যায় শেষ করে ফেলবেন তখন থেকেই ডেমো প্র্যাকটিস শুরু করেন। আর পাশাপাশি চালিয়ে যেতে থাকুন আপনার নিয়মিত স্টাডি। নিয়মিত স্টাডি যেভাবে ফিক্সড করেছেন সেভাবে ডেমো ট্রেডিং প্র্যাকটিসটা ফিক্সড করবেন।


ধাপ  ৩ #


ধরে নিলাম আপনার ব্যাসিক স্টাডি কোর্স শেষ এখন আপনি মোটামুটি ট্রেড বোঝেন এবং ট্রেড করতে পারেন। তাহলে এখন কি করবেন।

আসলে এখনি আপনি ডিসিশন নিবেন আপনার দ্বারা কি আসলেই ট্রেড সম্ভব? এতদিনের ফরেক্স শেখার অভিপ্রায় কতটা আপনাকে আনন্দ দিতে পেরেছে কিংবা যতটুকু ফরেক্স করেছেন তাতে আপনি কতটুকু হ্যাপি? নিজে নিজে এই প্রশ্নের উত্তরটা নিয়ে নিন, যদি আপনার উত্তরটা হয় আপনি বেশ উপভোগ করছেন এবং এই প্রকার আর্নিং কনসেপ্টটা আপনাকে বেশ আনন্দ দিচ্ছে তাহলে আমি বলব আপনি ফরেক্স করবেন বলে ডিসিশন নিতে পারেন। এবং আপনার পরবর্তী স্টেপ শুরু করুন। আর যদি এতোদিনের প্রচেষ্টায় আপনি নিজেকে এই প্রকার আরনিং সিস্টেম এর সাথে কোপ করাতে পারছেন না, কিংবা বিশয়টা আপনার ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না, আপনি ঠিক আনন্দ পাচ্ছেন না তাহলে আমি বলব আপনি জোর করে কিছু করতে যাবেননা, আপনাকে বুঝতে হবে এই প্রকার আর্নিং আপনার জন্য সুইটেবল না, আপনি আর জোর করে বেশিদুর চেষ্টা না করে আপনার পছন্দের অন্য কোন ব্যবসা করুন। কারন প্রথম অবস্থায় যতটুকু বুঝেছেন অন্তত আশা করি অতটুকু বুঝে গেছেন যে এটা একটা আর্ট আপনি যত ভালো-ভাবে আনন্দের সাথে সময় দিতে পারবেন আপনি তত তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবেন। তাই আপনার এসেসমেন্ট পিরিয়ড যেহেতু পজিটিভ না তাহলে আপনি এই প্রকার ব্যবসার চিন্তা বাদ দিন। কারন সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না এটা আপনি ভালো ভাবে জানেন।


ধাপ – ৪ #


ঠিক আছে ধরে নিলাম আপনি ডিসিশন নিয়েছেন আপনি ট্রেড করবেন। তাহলে এখন সময় এসেছে নিজেকে মুল ট্রেডার রুপে তোলার। আপনি স্টুডেন্ট কিংবা, চাকুরীজীবী। আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মের বাইরে প্রতিদিন ১-২ ঘন্টা সময় বের করে নিন যেহেতু বিষয়টাতে আপনি বেশ আগ্রহি এবং ইনজয় করছেন।

এইবার হল আপনার দ্বিতীয় এসেসমেন্ট:- আমি খুব করে ভালো লাগার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছি, কারন জোর করে করা কাজের ফলাফল ভালো হয় না। এইবার আপনার স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক রেখে সম্পূর্ণ অপশনাল একটি বিষয় হিসেবে ফরেক্স প্র্যাকটিস করুন, অতিদ্রুত এই মার্কেট থেকে রিটার্ন আশা করতে যাবেন না। অতিরিক্ত একটি বিষয় হিসেবে এগুতে থাকেন এক পর্যায়ে আপনি যখন আবিষ্কার করবেন না আপনি ভালো ট্রেড করছেন এবং আপনার ৪-৬ মাসের রেগুলার অনুশীলন যদি আপনাকে সার্বিকভাবে পজেটিভ রেজাল্ট দেয় তাহলে আপনি ইনভেস্ট আর কথা চিন্তা করতে পারেন।


ধাপ  – ৫ #


মুলত আপনি এখন জেনে গেলেন যে ফরেক্স ট্রেডিং এর অনেক গুলো ফর্মুলা এবং অনেক স্ট্রেটিজি আছে। তেমনি আপনি আরো জানলেন যে একেকটি বিষয় দিয়ে একেকভাবে স্ট্রেটিজি তৈরি করা যায়। কিন্তু সবগুলো বিষয় দিয়ে একসাথে আবার ট্রেড করা সম্ভব নয়। তাই এখন আপনার কাজ হল ডিসিশন নেওয়া যে কোন স্টাইলে রেগুলার ট্রেড করবেন। আপনি জানেন যে মুলত ট্রেড করার ফর্মুলা তিনটাঃ


টেকনিক্যাল এনালাইসিস


ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস


এবং ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস ।


মুলত বেশিরভাগ ট্রেড হয়ে থাকে টেকনিক্যাল এনালাইসিস স্ট্রেটিজিতে এবং এই স্ট্রেটিজিই সবচেয়ে বড় এবং সময় সাপেক্ষ।


ধাপ – ৬ #


ধরে নিলাম আপনি টেকনিক্যাল এনালাইসিস স্ট্রেটিজিতে ট্রেড করবেন বলে স্থির করলেন তাহলে এইবারকার লক্ষ্য হল টেকনিক্যাল টার্মস গুলো শেখা। আপনি ইতিমধ্য জেনে গেছেন যে ট্রেন্ড পাওয়ার ট্রেডিং এর জন্য বিশেষ পদ্ধতি হল ট্রেন্ড সনাক্ত করে ট্রেড করা সেই জন্য অনেক অনেক টুল এবং স্টাডি করতে হবে আপনাকে। আর তাই শুরু করে দিন বিভিন্ন প্যাটার্ন ড্রয়িং, অ্যান্ডস্ট্যান্ডিং এবং এক্সিকিউশন । এতে করে প্যাটার্ন সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা চলে আসবে তারপর এডভান্স পিভট পয়েন্ট এবং ফিভনাসি রিট্রেসমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করে দিন


ধাপ  – ৭ #


এই স্টেপে আপনি আরো একধাপ এগুবেন চার্ট নিয়ে, এতক্ষণ পর্যন্ত আপনি জেনে গেলেন প্যাটার্ন ড্রয়িং পূর্বক তাকে নিশ্চিত করতে হয় কিভাবে ফিভনাসি দিয়ে। এখন মুলত সেই কাজটি আবার করবেন আগের চেয়ে বেশী স্ট্রেনথ নিয়ে। চলে আসুন Trading Classic Chart Patterns ধরে, মুলত বইটী ফলো করার মাধ্যমে আপনি পরিষ্কার হয়ে যাবেন যে চার্ট প্যাটার্ন গুলো কতদুর কাজ করে কতটা ইফেক্টিভলি বিভিন্ন মার্কেট সিচুয়েশনে। আপনার রেফারেন্সে ভালো কোন চার্ট প্যাটার্ন বই থাকলেও সেটা ফলো করতে পারেন। মুলত উদ্দেশ্য একটাই। চার্ট প্যাটার্ন শেখার সাথে সাথে সবগুলো প্যাটার্ন একসাথে মাথায় নিতে যাবেন না এতো করে ভয়ংকর অবস্থা হতে পারে। তাই সামান্য কয়েকটা প্যাটার্ন আয়ত্তে আসার পর এগুলো দিয়ে নিজে নিজে ৪-৫ টা স্ট্রেটিজি দাড় করান এবং ডেমো ট্রেডিং এর মাধ্যমে এদের ট্রেডিং সাকসেস মার্ক করুন। এইভাবে এগুতে থাকুন।


ধাপ  – ৮ #


এইবার একটু সহজ স্বচ্ছ পথে এগুই , ইনডিকেটর MACD নিশ্চয়ই পেয়েছেন, একেবারে মামুলি ভাবার দরকার নাই এই ইনডিকেটরটাকে, কারন আপনি হয়ত জানেন না এই ইন্ডিকেটরের কত পাওয়ার, আপনি জেনে খুশি হবেন অনেক অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার যারা ফরেক্স থেকে অনেক বেশি টপ ইনকাম করছেন তাদের প্রিয় ট্রেডিং স্ট্রেটিজি কিন্তু MACD কে নিয়ে। তাই প্যাটার্ন যখন বুঝে নিয়েছেন এইবার MACD এর সাথে একটু মাথা খাটিয়ে স্ট্রেটিজির সুচনা করুন এবং নিয়মিত ট্রেড করুন। মনে রাখবেন আপনি ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার জন্য হাজার হাজার স্ট্রেটিজি পাবেন সবগুলোর রশাতলে যদি নিজেকে ফেলেন তাহলে আপনার আর ট্রেড করতে হবে না, তাই এতো স্ট্রেটিজি এক্সপার্ট হওয়ার দরকার নেই।


ধাপ  – ৯ #


আপনি অনেকদুর চলে এসেছেন এখন এতদূর পর্যন্ত যখন এসেছেন তাহলে নিশ্চয় ট্রেডও ভালো করছেন। তাহলে আপনি জেনে রাখুন যে আপনি দ্বিতীয় এসেসমেন্টেও পাশ করেছেন সো ফরেক্স আপনি করতে পারেন। এটা ফাইনাল। এখন সময় এসেছে এক্সপার্ট হওয়ার। সেটা কিভাবে সম্ভব? আসলে বিষয়টা খুব বেশী কঠিন নয় আপনার জন্য। এক্সপার্ট ট্রেডিং মানে কি? এটা কি কোন পদক বা কোন স্বীকৃতি? এক্সপার্ট ট্রেডিং হল আপনি ভালো ট্রেড করেন আপনার ম্যাক্সিমাম ট্রেডই প্রফিট করে এবং আপনি মার্কেট সম্পর্কে খুব ভালো জ্ঞান রাখেন এবং মার্কেট ভলাটিলিটি বুঝেন এবং সেই মতে ট্রেড করতে পারেন। এখন এই সব গুলো বিষয় কিন্তু আপনি এক রকম এনালাইসিসে পাবেন না, আপনাকে সেইজন্য জ্ঞান রাখতে হবে কারেন্সি ফলিং এবং রাইসিং ইস্যু সম্পর্কে যা আপনি ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসে অনেকটুকু পেয়ে যাবেন, মনে রাখবেন ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস মানে কিন্তু শুধু ইকোনমিক ক্যালেন্ডার রিড করতে পারা নয় বরং কি কি কারনে কারেন্সি ফ্লাকচুয়েট হয় তা ও জানা অর্থাৎ ইকোনমিক ডাটা পয়েন্ট সম্পর্কে জ্ঞান রাখাকে বুঝায়। তাই বুঝতে পারছেন আপনার টেকনিক্যাল এনালাইসিসের সাথে সাথে ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস কতটা জুরুরি।

আসুন এইবার আরেকটা কমন এনালাইসিস সম্পর্কে জানতে হবে আপনাকে, নিজেকে যদি ফরেক্স এক্সপার্ট রুপে গড়ে তুলতে চান। সেটি হল ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস । একেবারে মামুলি ভাবার দরকার নেই ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিসকে কারন অনেক ভিন্ন নেগেটিভ মতামত আছে ক্যান্ডেলস্টিক ভিবিন্ন প্যাটার্ন সম্পর্কে আমি নিজেও অস্বীকার করছি না, তবে কিছু ফর্মুলা দিতে পারি যাতে করে আপনার ট্রেড সাকসেস হতে পারে, খেয়াল করুন যখন আপনি টেকনিক্যাল এনালাইসিস করে ট্রেডে ঢুকতে জান তখন যদি সাথে সাথে আপনার ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নটা ও একটু মিলিয়ে নিতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার ট্রেডটা নেগেটিভ হওয়ার কথা নয়। এখন হয়ত মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে বা ভাবছেন এতো এনালাইসিস করতে করতেতো আর ট্রেড ই করা হবে না, প্রারতপক্ষে এখন এমন মনে হলেও আসলে ব্যাপারটা তা নয়। কারন আপনি বিভিন্ন এনালাইসিস সম্পর্কে যখন ভালো ধারনা নিয়ে আসবেন তখন একটা অর্ডারে বিভিন্ন এনানলাইসিস দিয়ে অর্ডারকে পজেটিভ করা কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার মাত্র তাই খাবড়াবেন না বস।


ধাপ – ১০ #


হ্যাঁ, আপনি অনেক কিছুই জেনে গেছেন ফরেক্সে। তো এখন কি আর তাহলে শেখার কিছু নাই? শুধুই ট্রেড করবেন আর বেশী বেশী ডলার কামাতে থাকবেন? আমি আপনার স্বাদটাকে গুড়িয়ে দিচ্ছি না, তবে একটু মনে করিয়ে দিতে চাইছি যে ফরেক্স ট্রেডিং মার্কেট সারা বছর এক রকম থাকে না, আপনি যে স্ট্রেটিজিতে এখন ট্রেড করে প্রফিট নিচ্ছেন সেই একই স্ট্রেটিজি কিন্তু আরেকটি সময় অর্থাৎ বছরের অন্য আরেকটি মাসে সেই কাজ নাও দিতে পারে বা পুরোপুরি আপনার টার্গেট ফিল নাও করতে পারে কিংবা ট্রেড আপনার অর্ডারের বিপরীতে চলে যেতে পারে। তাহলে সারা বছর ট্রেড কিভাবে করবেন? নো-টেনশন বস ! আমি এমন বললে ও সব সময় এমন ঘটে না তবে একেবারে যে ঘটেনা তা কিন্তু নয় তাই একটু সাবধান করে দিলাম। এই ক্ষেত্রে সিমপ্লি আপনি সারা বছরকে তিনটা ভাগে ভাগ করে ফেলুন। যেমনঃ


অক্টোবর-জানুয়ারি,

ফেব্রুয়ারি-মে

এবং জুন-সেপ্টেম্বার।


খেয়াল করলে কিংবা ভালো ট্রেডিং এক্সপিরিয়েন্স হয়ে গেলে নিজেও ধরে ফেলতে পারবেন যে সারা বছরে মার্কেট যতই ভালো বা খারাপ থাকুক না কেন ৩-৪ টি টাইম সার্কেল আর বাইরে রিয়াক্ট করে না। তাই বাৎসরিক চার্ট ধরে আইডিয়াটা নিয়ে ফেলুন। হাঁপিয়ে উঠেছেন এতো সব স্টেপ ক্লিয়ার করতে করতে, আসলে আপনি তো বস একদিনে এগুলো করতে যাবেন না এবং পারবেনও না। তাই শেখার মাঝখানে যদি কিছুটা হলেও ক্লান্তি এসে যায় কিংবা একটু করে বিরক্তি কাজ করে তাহলে একটা শর্ট ব্রেক নিয়ে নেন, কারন বিরক্তির শিক্ষা আপনাকে আরো বিরক্ত করে ফেলবে তাই, রিফ্রেশ হয়েই আবার শুরু করেন তবে প্রতিদিন সামান্য করে এগিয়ে গেলে বিরক্ত হওয়ার কথা নয় বরং কিউরিসিটি আরো বেড়ে যাবে। কারন ফরেক্স হচ্ছে একটা টোটাল আর্ট যেখানে আপনার মেধার একটা চরম মূল্য পাওয়া যায়।


অবশ্য এতদূর আশার আগেই আপনি আপনার সাধ্যমত এমাউন্ট ইনভেস্ট করে অনেক অনেক ট্রেড করে ফেলেছেন আশা করি, তারপর ও রিকমন্ডিশন হিসেবে বলতে চাই, ভালো রিটার্ন চাইলে ভালো ইনপুট দিতে হবে। আমি বলছি না আপনি ৫০০,১০০০,২০০০ বা ৫০০০ ডলার দিয়ে ট্রেড শুরু করতে হবে শুধু বলতে চাই আপনি ট্রেড বুঝে গেছেন তাই আপনার সব দিক চিন্তা করে আপনার মত করে ইনভেস্ট করুন, হতে পারে সেটা $১০০০০ বা তারও বেশী। আপনার সব এনালাইসিস আর পাশাপাশি ইনভেস্টটা একটা বিরাট ফেক্টর, হ্যাঁ, আপনার কাছে হিউজ এমাউন্ট থাকতে পারে ইনভেস্ট করার মত কিন্তু আপনাকে ব্যাবহার করতে জানতে হবে রিস্কফ্রী ভাবে। আর আপনি যখন আমার আলোচনার এই পর্যায় পর্যন্ত শেখা শেষ করে ফেলতে পারবেন তাহলে আমি সিউর আপনাকে আর বলে দিতে হবে না আপনাকে কত ইনভেস্ট করতে হবে।


ইনভেস্ট ছাড়া কি ট্রেড করা সম্ভব?

উত্তরটা আমি খুব সিমপ্লি দিতে চাই, ইনভেস্ট ছাড়া ট্রেড করা সম্ভব নয় বস ! যখন এই মার্কেটে আছেন তখন শুনে থাকতে পারেন যে ফরেক্সের বিভিন্ন সাইট আছে যেখানে পোস্ট করলে বোনাস ডলার দেয় যা দিয়ে ট্রেড করতে পারা যায় কিংবা কোন কোন ব্রোকার তাদের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য ৫-১০ ডলার বোনাস দিয়ে থাকে। বিষয়টা সত্যি, এই সুযোগটা অনেকেই নিয়ে থাকে কিন্তু আপনি একজন প্রফেশনাল ট্রেডার কিংবা ভালো ডিসিপ্লিন এবং আনকন্ডিশনাল ট্রেডিং এর জন্য এমন চিন্তা করার দরকার নেই। বিষয়গুলো অনেকের কাছে অনেক পছন্দের হলে ও প্রকৃতপক্ষে এই উপায়ে ট্রেডিং মানি কালেকশন করতে গেলে মুল ট্রেডিং এর প্রতি আপনার ভালো লাগাটা হারিয়ে ফেলতে পারেন এবং আপনার বিজনেস সেন্টিমেন্টটা হারিয়ে যাবে আর কন্ডিশন অব্লাইজড করতে করতে আপনি বিরক্তই হবেন তাই এই সকল বিষয়ের প্রতি আসক্তি না রেখে সরাসরি ট্রেডে আসুন। এটাকে একটা বিজনেস হিসেবে চিন্তা করুন, সুযোগ সন্ধানী হওয়ার দরকার নেই। আর যেহেতু ব্যবসা-ই করতে বসছেন সো ইনভেস্ট ছাড়া প্রফিট হয় না সেটাতো জানেন, তা-ই মাথায় রাখুন।


ফরেক্স করে কোটিপতি হওয়া কি সম্ভব ?

এই বিষয়ে বিভিন্ন ফরেক্স বিশেষজ্ঞ ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছেনঃ 

অমি মনে করি ফরেক্স থেকে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। ফরেক্স দিয়ে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। তবে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া সম্ভব না। আপনাকে ফরেক্স জানতে হবে। কি করে ট্রেড করবেন তা জানতে হবে। আর কি পরিমান মুলধন নিয়ে আপনি শুরু করবেন আর আপনি ফরেক্স ট্রেড কেমন বুঝেন তার উপর নির্ভর করবে । 
রবিউল আলম, ফরেক্স ট্রেডার
ফরেক্স থেকে কোটিপতি হওয়া যায় কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন অসীম ধৈর্য্য,প্রয়োজন অনেক সময় দেয়া এবং অনেক দক্ষতা।ফরেক্স থেকে কোটিপতি হতে হলে অবশ্যই দরকার ফরেক্স ট্রেড সম্পর্কে তুখোর জ্ঞান,তাহলে ফরেক্স থেকে কোটিপতি হওয়া যাবে।
জুনাইদ আহমদ, ফরেক্স ট্রেডার
ফরেক্সে ব্যাবসা করে কোটিপতি হওয়া সম্ভব যদি আপনি বর্তমানে একজন কোটিপতি হন। তা না হলে ফরেক্সে কোটিপতি হওয়া স্মভব নয় বলে আমি মনে করি। কারন ফরেক্স হচ্ছে একটা ব্যবসা এখানে ব্যবসা করে সাফল্য আনতে হয়। এটা কোনো টাকা বানানোর যন্ত্র না যে আপনি চাইলেই কোটিপতি হয়ে যাবেন।
সামাদ তালুকদার, ফরেক্স ট্রেডার
ফরেক্স করে অবশ্যই কোটিপতি হওয়া যায়। কিন্তু এর জন্য চাই কঠোর পরিশ্রম এবং নিয়মিত অনুশীলন করে শিখা। কেননা আপনি এভাবেই অভিজ্ঞ হতে পারবেন। তাই আপনি আপনার লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যান সাফল্য আসবেই।
মুন্নি আক্তার, ফরেক্স ট্রেডার

ফরেক্স মার্কেট এর সুবিধা কি কি ?  

  • কোনও কমিশন নেই

No Annual Charge, no exchange fee, no government fee, no brokerage fee, ব্রোকারা মূলত তাদের কমিশন নেয় ট্রেড বাই/সেল এর স্প্রেড এর মাধ্যমে।

  • মধ্যবর্তী কোনও অস্তিত্ব নেই

স্পট কারেন্সি ট্রেডিং এ কোন ধরনের মধস্ততাকারির প্রয়োজন নেই এবং এটি সরাসরি আপনাকে নির্দিষ্ট কারেন্সি পেয়ার এ ট্রেড করার সুযোগ দেয়।

  • লট/ভলিউম সীমাবদ্ধতা নেই

স্পট ফরেক্স মার্কেটে আপনি আপনার মত করে লট/ভলিউম সিলেক্ট করতে পারবেন যা আপনার ডিপোজিট এর উপর নির্ভর করবে। এটা নিয়ে আমরা আরও আলোচনা করবো।

  • ২৪ ঘন্টাই ট্রেডিং এর সময়

এই মার্কেট আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটের মতন মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য ওপেন হই না। সপ্তাহের ৫ দিন, সোমবার রাত ৩টা থেকে শুক্রবার রাত ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আপনি আপনার পছন্দের যেকোনো সময়ে ট্রেড করতে পারবেন।

কোন সময় ট্রেড করা ভালো

আসলে সত্যি কথা বলতে কি ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার জন্য ঐ ভাবে কোন নিদিষ্ট অনুকূল সময়ের ব্যাপারে আমার জানা নেই কারন মার্কেট কোন সময় মূভ করবে সেটি নিদিষ্ট করে কারর পক্ষেই বলা সম্ভাব নয় তবে হ্যা যদি ভাল ফরেক্স মার্কেট অ্যানালাইসিস করার জ্ঞান থাকে তা হলে তার আলোকে মার্কেট ট্রেন্ড পরবর্তিতে কোন দিকে যেতে পারে সে ব্যাপারে পূর্বাভাস কিছুটা হলেও অনুমান করা সম্ভাব।ফরেক্স খুব ভাল ব্যাবসা হলেও এখানে লস খুব সহজ । কিন্তু আমাদের হতাস হওয়া ঠিক নয় । আমাদের কিছু ভাল সময় বেছে নিতে হবে ট্রেড করার জন্য ।  আমার মতে ট্রেডিং করার উপোযুক্ত সময় সন্ধ্যা ৬ টার পরে । আমি প্রায়ই এই সময় এ ট্রেড করার জন্য চেষ্টা করি । আমি ফরেক্স ব্যবসা করতে খুব ভালবাসি ।লন্ডন সেশন ট্রেডিং এর জন্য ভাল একটি সময়।কারণ এ সময় সাইড ওয়ে মার্কেট থাকে না এবং সব সেশন এ সময় থেকে খোলা থাকে বলে মার্কেট মুভ করে ।



ফরেক্স ট্রেডিং কিভাবে কাজ কর

এটি একটি অপ্রতিরোদ্ধ নগদ বাজার যেখানে ব্রোকারদের মাধ্যমে দেশের মুদ্রা বিনিময় করা হয়। এটি অনুমান করা হয় যে, বিশ্ব ফরেক্স মার্কেটে প্রতিদিন গড়ে $3.6 ট্রিলিয়ন লেনদেন হয়। বেশিরভাগ ফরেক্স ট্রেডিং কোনো একটি কেন্দ্রীভূত বা সংগঠিত বিনিময়ে হয় না বরং আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে দালালদের মাধ্যমে হয়।

বেস্ট ফরেক্স ব্রোকার বাংলাদেশ


এফএক্সটিএম
এফপি মার্কেট 
ব্লাকবোল মার্কেট

ফরেক্স নিয়ে যা যা জানা জরুরীঃ
ফরেক্স মার্কেট কখন বন্ধ হয়??

ফরেক্স মার্কেট শুক্র বার রাত তিন টায় বন্ধ হয়।

ট্রেডিং কিভাবে করব?

প্রথমে যেকোন ব্রোকারেজে একাউন্ট খুলে ডামি ডলার দিয়ে নিয়মিত প্রাক্টিস করে যখন লাভ করতে পারবেন , তখন লাইভ একাউন্টে ডলার লোড করে ছোট ছোট লটে বাই সেল করুন।

ফরেক্স ট্রেডিং কি হালাল?

সরাসরি বলে দেওয়া যায় ফরেক্স ট্রেডিং হারাম। তবে মুসলিমদের কথা মাথায় রেখে এই সেক্টরে সুদমুক্ত একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যা Swap free forex একাউন্ট নামে পরিচিত।

ফরেক্স স্প্রেড কি?

টার্মিনালের প্রদর্শিত BID এবং ASK প্রাইসের প্রাথক্যই হচ্ছে স্প্রেড। যদি আরও সহজ করে বলি, তাহলে বাই প্রাইস এবং সেল প্রাইস এর গ্যাপ কিংবা পার্থক্যই হচ্ছে স্প্রেড। ফরেক্স ট্রেডিং এর ভাষায়, এই BID হচ্ছে যেকোনো ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট এর ডিমান্ড এবং ASK হচ্ছে এর সাপ্লাইকে নির্দেশ করে থাকে

ফরেক্স ব্রোকার কি?

আগের দিনে শুধুমাত্র বিশাল ধনী অথবা ব্যাংকগুলো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন ফরেক্স ব্রোকারের আবির্ভাব হয়। ব্রোকার কোম্পানিদের মূল উদ্দেশ্য হল ক্রেতা এবং বিক্রেতার সন্নিবেশনে স্প্রেড এর মাধ্যমে কমিশন আয় করা।

ফরেক্স এর মালিক কে?

ফরেক্স মার্কেট এর একক কোন মালিক নেই। এমনকি বিশ্বের মোড়ল দেশ আমেরিকা চাইলেও ফরেক্স মার্কেটে কারচুপি করতে পারবেনা।

একজন সফল ট্রেডার হতে কত সময় লাগে?

ফরেক্স মার্কেটে প্রফেশনাল ট্রেডার হতে গেলে আপনাকে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে ।অনেক কষ্ট করতে হবে এবং আপনাকে ফরেক্স মার্কেটে বিষয়ে প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে ।ফরেক্স মার্কেটে প্রফেশনাল মান অর্জন করতে হলে আপনাকে পাপাঁচ বছর সময় দিতে হবে।

ফরেক্স ট্রেডিং কি নতুনদের জন্য ভালো?

নতুনদের জন্য ফরেক্স ট্রেডিং অনেক কঠিন একটি ব্যবসা। কারণ এখানে অনেক কিছু শিখে ব্যবসা করতে হয়।

ফরেক্স ট্রেডিং কি নতুনদের জন্য ভালো?

নতুনদের জন্য ফরেক্স ট্রেডিং অনেক কঠিন একটি ব্যবসা। কারণ এখানে অনেক কিছু শিখে ব্যবসা করতে হয়।

ফরেক্স কি হালাল না হারাম?

একটু সোজা কথায় উত্তর দেওয়া যাক । মূলত ফরেক্স ট্রেডিং হলো সেই ফিন্যান্সিয়াল একটিভিটিজ যার মাধ্যমে সেন্ট্রাল ব্যাংক গুলো বৈদেশিক মুদ্রা কেনা বেচা করে থাকে । সেসব দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংক কর্তৃক তাদের মুদ্রার একটা ইন্টারেস্ট রেট থাকে।\n\nআর যেহেতু ইসলামে এই ইন্ট্রেস্ট গ্রহণ করা হারাম সুতরাং ফরেক্স ট্রেডিংও হারাম ।\nতবে এই সেক্টরে সুদমুক্ত ইসলামি ইসলামি একাউন্ট খোলার সুযোগ আছ।

ফরেক্স প্রাইস ওঠানামা করার কারণ কি?

ফরেক্সে প্রাইস ওঠানামা করার বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন- আমেরিকার চাকরির বাজারে বেকারত্বের হার কমে গেলে , আমেরিকার কারেন্সি USD এর প্রাইস বেড়ে যাবে আর বেকারত্বের হার বেড়ে গেলে আমেরিকার কারেন্সি USD এর প্রাইস কমে যাবে।

Swap free forex কি হালাল?

যেহেতু Swap free forex হচ্ছে সুদ্মুক্ত ফরেক্স একাউন্ট সুতরাং একে হালাল বলা যায়।

ইসলামিক ট্রেডিং একাউন্ট কি?

Swap free forex ফরেক্স হচ্ছে ইসলামিক ট্রেডিং একাউন্ট।

ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ?

ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ?","acceptedAnswer":{"@type":"Answer","text":"ফরেক্স ট্রেডিং বাংলাদেশে বৈধ কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। সাধারণ ব্যবহারকারীরা সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে না। তারা শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আনুষ্ঠানিক অনুমোদিত ব্রোকারের মাধ্যমে ট্রেড করতে পারে।

মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১

মালদ্বীপের আয়তন কত জনসংখ্যা কত সহ বিস্তারিত

ডিসেম্বর ২৮, ২০২১ 0

এশিয়ার ছোট দেশ মালদ্বীপের আয়তন কত

১ হজার ২০০ এর চেয়ে অধিক দ্বীপ নিয়ে মালদ্বীপ গঠিত। এর জমির পরিমাণে মালদ্বীপের আয়তন কত তা জানলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেননা। মালদ্বীপের আয়তন ২৯৮ বর্গ কিলোমিটার।এটি  এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে ছোট দেশ। আর দ্বীপপুঞ্জগুলোর আয়তন  প্রায় ৯০,০০০ বর্গ কিলোমিটার । 

মালদ্বীপের আয়তন কত


মালদ্বীপের জনসংখ্যা কত

মালদ্বীপের  জনসংখ্যা বর্তমানে ( ২০২১ ) জনসংখ্যা ৫৪০৫৪২ জন । মালদ্বীপের প্রায় সবাই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। 

মালদ্বীপের রাজধানীর নাম

মালদ্বীপের রাজধানীর নাম - মালে 

মালদ্বীপের মুদ্রার নাম

মালদ্বীপের মুদ্রার নাম- মালদ্বীপীয়া রুফিয়া 

আরো পড়ুনঃ 

কাদিয়ানী কারা