কাদিয়ানী মসজিদঃ
পৃথিবীর ২০৬ টি দেশে কাদিয়ানী মসজিদ রয়েছে। কাদিয়ানীদের প্রধান মসজিদ ভারতের কাদিয়ানে হলেও কাদিয়ানীদের নামাজ এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হয় লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদ থেক। তাঁদের বর্তমান খলিফা হযরত মির্যা মাসরুর আহমদ ( আই ) ( ৫ম ) প্রতি শুক্রবারে পৃথিবীর সকল কাদীয়ানীর উদ্দেশ্য বয়ান দিয়ে থাকেন; যা পুরো পৃথিবীর কাদিয়ানীরা একযোগে বাস্তবায়ন করে থাকে। কাদিয়ানী বিরোধীরা কাদিয়ানীদের শক্তির উৎস খুঁজে পাইনা, তাঁরা সব সময় বলে থাকে ইংরেজ সরকার সহায়তা দিয়ে থাকে কিন্তু আমি মনে করি তাঁদের শক্তি হচ্ছে তাঁদের খলিফা ; তাঁরা সকলে তাঁদের খলিফার কথা মত চলে, যা পৃথিবীর অন্য কোন ধর্মে নেই । নিচে তাঁদের কয়েকটি মসজিদ এর ছবি সহ বর্ননা দিলাম।
জাপানের প্রথম কাদিয়ানী মসজিদ

- মসজিদের নাম- বায়তুল আহাদ
- দেশ - জাপান
- এলাকা - নাগোয়া
- উদ্বোধন - ২০ নভেম্বর ২০১৫
- উদ্বোধক - হযরত মির্যা মাসরুর আহমদ ( আই )
ইংল্যান্ডের প্রধান মসজিদ

- মসজিদের নাম- বায়তুল ফুতুহ
- দেশ - ইংল্যান্ড
- এলাকা - লন্ডন
- উদ্বোধন - ১৪ অক্টোবর ২০০৭
কাদিয়ানী মসজিদ মসজিদ আকসা

- মসজিদের নাম- মসজিদ আকসা
- দেশ - ভারত
- এলাকা - পাঞ্জাব - কাদিয়ান
কাদিয়ানীদের নামাজ পড়ার নিয়ম কি?
বিশ্বের সুন্নী সম্প্রদায় যেভাবে নামজ পড়ে কাদিয়নীদের নামাজ ঠিক সে রকম, কোন ধরণের পার্থক্য নেই । তাঁদের আযান সুন্নী সম্প্রদায়ের আযানের মত এক ও অভিন্ন । তাঁদের ওযুর নিয়ম সুন্নী সম্প্রদায়ের ওযুর নিয়মে । তাঁদের কিবলা বায়তুল্লাহ শরীফ এবং নামাজে সূরার উচ্চারণ আরবীতে । কাদিয়নীদের নামাজ (ফরজ) দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত- ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব এবং এশা । এছাড়াও তাঁরা নিয়মিত তাহাজ্জুত নামাজ সহ আরো অনেক নফল নামজ পড়ে থাকে ।
এছাড়াও মুসলমানদের আরো ৭১টি সম্প্রদায় আছে। আপনি কয়েকটার নাম বলতে পারবেন
উত্তরমুছুনজ্বী জনাব,আমি আরো কয়েকটি মুসলিম ফেরকার নাম জানি যেমনঃ সুন্নি, শিয়া, ওহাবি,হাম্বলি,মালেকি,বায়হাকি ইত্যাদি।
মুছুনকাদিয়ানীদের আমল যত শুধু হোক না কেন, কিন্তু তাদের আকিদা কোরআন বিরোধী,যেমন তারা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কে নবী মনে করে ।নাউযুবিল্লাহ। অথচ আল্লাহ তায়ালা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কোরআনের মধ্যে خاتم النبين অর্থাৎ সকল নবীদের শেষ নবী বলে সম্বোধন করেছেন।
উত্তরমুছুনরাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই বলছেন আমার পরে ৩০জন ব্যক্তি আসবে তারা নিজেদের কে মিথ্যা নবী দাবি করবে ।অথচ আমি হলাম শেষ নবী আমার পরে আর কোন নবী আসবে না।
কোন পাগল নবী হতে পারে না।অথচ গোলাম আহমদ মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
কোন নবী মেয়েদের পিছনে পড়েনি ।অথচ গোলাম আহমদ তার চাচাতো বোন কে পাওয়ার জন্য পাগল ছিলেন, তার চাচাতো বোন নিজেই তাকে পাগল বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
একটা ছোট্ট বিষয়ে চিন্তা করলেই হয় যে প্রতিটি নবীর নাম একক শব্দের।যেমন,ঈসা ,মুসা ,নূহ, ইব্রাহিম ও মুহাম্মদ।অথচ গোলাম আহমদ এর নাম দুই অক্ষরের।
সুতরাং যে ব্যক্তি ইসলামের স্বতঃসিদ্ধ ও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত কোন বিষয় কে অস্বীকার করবে সে মুসলমান থাকতে পারে না। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুন।
আপনি হয়তো না জেনে বলছেন কাদিয়ানি অথাৎ আহমদীরা কাউকে নবী মানে না।যেখানে কোরআনে বলা আছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) আমাদের শেষ নবী সেখানে কোন মুসলিম কিভাবে কাউকে নবী ভাববে। সঠিক কোন কিছু না জেনে কোন মুসলমানকে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা ঠিক নয়
মুছুনআপনারা না মানলে কি হবে সোনা। আপনাদের গোলাম আহমাদ তিনিই তো নিজেকে ছায়া নবী, ঈসা, কখনো খোদা, কখনো মাহদী দাবী করেছেন। আপনার মানা না মানায় আমাদের কি আসে যায়। আপনাদের গোলাম আহমাদ কি বলেছে সেটাই বড় কথা।
মুছুনহক্ব হয়ে থাকলে কমেন্ট করা উন্মুক্ত নয় কেন?
উত্তরমুছুনউন্মুক্ত করেন, আসেন হক্বটি দলীলের মাধ্যমে প্রমান হোক।
উত্তরমুছুনবিশ্ব ব্যাপী কার্যক্রম চলমান থাকলে কোন দল হক্ব হয়ে যায় না। মুসলমানদের এর চেয়ে কিন্তু খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন এগিয়ে সব ক্ষেত্রে তার কারণে তারা হক্ব হয়ে যায় না।
উত্তরমুছুনKadia nirakafer
উত্তরমুছুনকাদিয়ানী সম্প্রদায় মানেই অমুসলিম।
উত্তরমুছুনতারা মুল পয়েন্টেই কাফের। শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিসালাম নিজেকে খতমে নবুয়ত বলে গেছেন। অথচ কাদিয়ানী গোলাম আহমদ নিজেকে ঈসা কখনো ইমাম মাহদী বলে দাবী করেছেন, তার অনুসারীরাও সেটা মানেন (নাউজুবিল্লাহ)